শুক্রবার, ২ ফেব্রুয়ারী, ২০১৮

ভাগবান শ্রী কৃষ্ণের পঞ্চম দোল যাত্রা উপলক্ষে ৩ দিন ব্যাপী অনুষ্ঠান সূচি

🌹ওঁ নমো বাসুদেবায়ঃ ওঁ কৃষ্ণ কৃপাহি কেবলম 🌹

ভাগবান শ্রী কৃষ্ণের পঞ্চম দোল যাত্রায়।
ভাগবত আলোচনা, পদাবলী কীর্ত্তন, ভজন কীর্ত্তন ও ভক্তিগীতি এবং ধর্মীয় যাত্রাপালা।
উৎসব অঙ্গন :- নামাচার্য্য  শ্রী শ্রী ব্রহ্ম হরিদাস ঠাকুর জন্মভিটা আশ্রম,  শ্রী ধাম,কেঁড়াগাছী, কলারোয়া,  সাতক্ষীরা।

                   ______অনুষ্ঠান সূচি _______

 ➡ ২০ ফাল্গুন ১৪২৪ (৫ মার্চ ২০১৮ ইং) সোমবার।

১) সন্ধ্যা ৭ ঘটিকায় মঙ্গল অধিবাস হরিবাসর সম্প্রদায়, মুরারীকাটি, কলারোয়া, সাতক্ষীরা।
পরিচালনায় : উত্তম পাল।

➡ ২১ ফাল্গুন ১৪২৪ (৬মার্চ ২০১৮ ইং)  মঙ্গলবার ।
ঊষাকালে ঊষা আবাহন সংগীত ও ভজন কীর্ত্তন।  
২) পরিবেশনায় :- হরিবাসর সম্প্রদায়, সোনাবাড়িয়া, কলারোয়া,
পরিচালনায় : রণজিৎ দত্ত।

সকাল ১০ ঘটিকা হইতে দুপুর ২ ঘটিকা পর্যন্ত ভাগবত আলোচনা।

               _____ভাগবত আলোচনায়_____

১)  ভাগবত আচার্য্য শ্রী নারায়ণ উত্তম গোস্বামী  (নিতাই দাস)
 শ্রী শ্রী রাধাগোবিন্দ সেবাশ্রম, খড়িঞ্চি, মনিরামপুর, যশোর
২)  ভাগবত আচার্য্য নির্মল সরকার কৃষ্ণবাটী,  মনিরামপুর যশোর।
৩)  দুপুর ৩ ঘটিকা হইতে সন্ধ্যা ৭ ঘটিকা পর্যন্ত
  পদাবলী কীর্ত্তন ।
 
            🎸🎸🎸 পরিবেশনায়🎸🎸🎸

৪) রাধামাধব কীর্ত্তন সম্প্রদায়
কীর্ত্তনীয়া :- বেতার ও দূরদর্শনখ্যাত প্রবীর কুমার দাস
বসিরহাট, কলিকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত।

➡ ২২ ফাল্গুন (৭ই মার্চ) বুধবার।
      ভাগবত আলোচনা সকাল :- ১০ ঘটিকায়।
 ১) ভক্তিসাধিকা শ্রীমতি তাপসী রাণী দেবী দাসী কপিলমুনি, পাইকগাছা, খুলনা।

২) বেলা ২টা  হইতে সন্ধ্যা ৭ ঘটিকা পর্যন্ত  পদাবলী কীর্ত্তন  পরিবেশনায় :- বেতার ও  দূরদর্শনখ্যাত অধ্যপিকা ড. মোনালিসা বন্দোপধ্যায় কাটোয়া কলেজ, কলিকাতা।

শ্রীখোলে :- বেতার ও দূরদর্শন খ্যাত অধ্যাপক শিবুপ্রসাদ পাল
 রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয় কলিকাতা, ভারত।

➡ ২৩  ফাল্গুন ১৪২৪  ( ৮ই মার্চ২০১৮)  বৃহস্পতিবার
সকাল ১০ ঘটিকা হইতে ৩ ঘটিকা পর্যন্ত।

                  ভজন কীর্ত্তণ ও ভক্তিগীতি
 
              🎸🎸🎸 পরিবেশনায় 🎸🎸🎸

১)  দূরদর্শন খ্যাত  অধ্যাপিকা মানসী ঘোষ দস্তিদার।
জি বাংলা, ডি ডি বাংলা, আকাশ বাণী, কলিকাতা, ভারত।

তবলায় :- অধ্যাপক প্রেমানন্দ পাল কলিকাতা, ভারত।

২) বিকাল ৩ ঘটিকায় ধর্মীয় যাত্রাপালা ( কৃষ্ণ ভক্ত সুদামা )
পরিবেশনায় :- পাটকেল ঘাটা নাট্যসংস্থা।

               🎸🎸🎸পরিচালনায়🎸🎸🎸
                            কুমার বিশ্বজিৎ

 শ্রেষ্ঠাংশে :-  গায়ক নায়ক  কুমার বিশ্বজিৎ ও যাত্রালক্ষি  শেফালী রায়।
সেবাইত :- অবারিত দাস বাবাজী মহারাজ, শ্রী শ্রী ব্রহ্ম হরিদাস ঠাকুর জন্মভিটা আশ্রম।

সমগ্র অনুষ্ঠান পরিচালনায় : - নামাচার্য্য  শ্রীশ্রী ব্রহ্ম হরিদাস ঠাকুর  জন্মভিটা আশ্রম পরিচালনা পরিষদ।

               _______  বিনয়াবনত  _______

শ্রী শ্রী ব্রহ্ম হরিদাস ঠাকুর জন্মভিটা পরিচালনা পরিষদের পক্ষে।

                   অধ্যাপক কার্ত্তিক চন্দ্র মিত্র
                                সভাপতি
                 মোবাইল :- ০১৭৪০ - ৬৩৫৮৩০

                               সন্দীপ রায়
                          সাধারণ সম্পাদক
                 মোবাইল  :- ০১৭৭৪-৪৫০০৭০

 কেঁড়াগাছী, কলারোয়া, সাতক্ষীরা, খুলনা, বাংলাদেশ।

এই তীর্থ ক্ষেত্রে লক্ষ লক্ষ ভক্তের সঙ্গ করে পারমার্থিক অর্জন করুন। সমস্ত ভক্তদের নিমন্ত্রণ রহিল।

আশ্রম উন্নয়নকল্পে আজীবন সদস্য ফি ৫০০১/-  টাকা

                         সঞ্চয়ী হিসাব নং
                                ১৪২৫৩
              রুপালী ব্যাংক,  কলারোয়া শাখা।

মহাপ্রসাদের  মালসা ভোগর জন্য ২০১/-   টাকা জমা দিয়ে নাম ও গোত্র লেখাতে হবে।

শ্রীল হরিদাস ঠাকুরের জীবনী সম্পর্কে জানতে ভিজিট করুন ।
পেইজ লিংক 👍 নামাচার্য্য শ্রী শ্রী ব্রহ্ম হরিদাস ঠাকুরের জন্মভূমি শ্রীধাম কেঁড়াগাছী
www.facebook.com/haridasathakur
E-mail haridasath@gmail.com

বৃহস্পতিবার, ১ ফেব্রুয়ারী, ২০১৮

🌹ওঁ নমো বাসুদেবায়ঃ ওঁ কৃষ্ণ কৃপাহি কেবলম 🌹

ভাগবন শ্রী কৃষ্ণের পঞ্চম দোল যাত্রয়।
ভাগবত আলোচনা, পদাবলী কীর্ত্তন, ভজন কীর্ত্তন ও ভক্তিগীতি এবং ধর্মীয় যাত্রাপালা। 
উৎসব অঙ্গন :- শ্রী শ্রী ব্রহ্ম হরিদাস ঠাকুর জন্মভিটা আশ্রম,  কেঁড়াগাছী, কলারোয়া,  সাতক্ষীরা।

                   ______অনুষ্ঠান সূচি _______

 ➡ ২০ ফাল্গুন ১৪২৪ (৫ মার্চ ২০১৮ ইং) সোমবার।

১) সন্ধ্যা ৭ ঘটিকায় মঙ্গল অধিবাস হরিদাসর সম্প্রদায়, মুরারীকাটি, কলারোয়া, সাতক্ষীরা।
পরিচালনায় : উত্তম পাল।

➡ ২১ ফাল্গুন ১৪২৪ (৬মার্চ ২০১৮ ইং)  মঙ্গলবার ।
ঊষাকালে ঊষা আবাহন সংগীত ও ভজন কীর্ত্তন।   
২) পরিবেশনায় :- হরিবাসর সম্প্রদায়, সোনাবাড়িয়া, কলারোয়া, 
পরিচালনায় : রণজিৎ দত্ত।

সকাল ১০ ঘটিকা হইতে দুপুর ২ ঘটিকা পর্যন্ত ভাগবত আলোচনা। 

               _____ভাগবত আলোচনায়_____

১)  ভাগবত আচার্য্য শ্রী নারায়ণ উত্তম গোস্বামী  (নিতাই দাস) 
 শ্রী শ্রী রাধাগোবিন্দ সেবাশ্রম, খড়িঞ্চি, মনিরামপুর, যশোর  
২)  ভাগবত আচার্য্য নির্মল সরকার কৃষ্ণবাটী,  মনিরামপুর যশোর।
৩)  দুপুর ৩ ঘটিকা হইতে সন্ধ্যা ৭ ঘটিকা পর্যন্ত 
  পদাবলী কীর্ত্তন ।
   
            🎸🎸🎸 পরিবেশনায়🎸🎸🎸

৪) রাধামাধব কীর্ত্তন সম্প্রদায় 
কীর্ত্তনীয়া :- বেতার ও দূরদর্শনখ্যাত প্রবীর কুমার দাস
বসিরহাট, কলিকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারর। 

➡ ২২ ফাল্গুন (৭ই মার্চ) বুধবার।
      ভগবত আলোচনা সকাল :- ১০ ঘটিকায়।
 ১) ভক্তিসাধিকা শ্রীমতি তাপসী রাণী দেবী দাসী কপিলমুনি, পাইকগাছা, খুলনা।

২) বেলা ২টা  হইতে সন্ধ্যা ৭ ঘটিকা পর্যন্ত  পদাবলী কীর্ত্তন  পরিবেশনায় :- বেতার ও  দূরদর্শনখ্যাত অধ্যপিকা ড. মোনালিসা বন্দোপধ্যায় কাটোয়া কলেজ, কলিকাতা। 

শ্রীখোলে :- বেতার ও দূরদর্শন খ্যাত অধ্যাপক শিবুপ্রসাদ পাল
 রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয় কলিকাতা, ভারত।

➡ ২৩  ফাল্গুন ১৪২৪  ( ৮ই মার্চ২০১৮)  বৃহস্পতিবার 
সকাল ১০ ঘটিকা হইতে ৩ ঘটিকা পর্যন্ত। 

                  ভজন কীর্ত্তণ ও ভক্তিগীতি
   
              🎸🎸🎸 পরিবেশনায় 🎸🎸🎸

১)  দূরদর্শন খ্যাত  অধ্যাপিকা মানসী ঘোষ দস্তিদার।
জি বাংলা, ডি ডি বাংলা, আকাশ বাণী, কলিকাতা, ভারত। 

তবলায় :- অধ্যাপক প্রেমানন্দ পাল কলিকাতা, ভারত। 

২) বিকাল ৩ ঘটিকায় ধর্মীয় যাত্রাপালা ( কৃষ্ণ ভক্ত সুদামা ) 
পরিবেশনায় :- পাটকেল ঘাটা নাট্যসংস্থা।

               🎸🎸🎸পরিচালনায়🎸🎸🎸
                            কুমার বিশ্বজিৎ 

 শ্রেষ্ঠাংশে :-  গায়ক নায়ক  কুমার বিশ্বজিৎ ও যাত্রালক্ষি  শেফালী রায়।
সেবাইত :- অবারিত দাস বাবাজী মহারাজ, শ্রী শ্রী ব্রহ্ম হরিদাস ঠাকুর জন্মভিটা আশ্রম।

সমগ্র অনুষ্ঠান পরিচালনায় : - নামাচার্য্য  শ্রীশ্রী ব্রহ্ম হরিদাস ঠাকুর  জন্মভিটা আশ্রম পরিচালনা পরিষদ।  

               _______  বিনয়াবনত  _______

শ্রী শ্রী ব্রহ্ম হরিদাস ঠাকুর জন্মভিটা পরিচালনা পরিষদের পক্ষে। 

                   অধ্যাপক কার্ত্তিক চন্দ্র মিত্র 
                                সভাপতি 
                 মোবাইল :- ০১৭৪০ - ৬৩৫৮৩০ 

                               সন্দীপ রায়
                          সাধারণ সম্পাদক  
                 মোবাইল  :- ০১৭৭৪-৪৫০০৭০ 

 কেঁড়াগাছী, কলারোয়া, সাতক্ষীরা, খুলনা, বাংলাদেশ।

এই তীর্থ ক্ষেত্রে লক্ষ লক্ষ ভক্তের সঙ্গ করে পারমার্থিক অর্জন করুন। সমস্ত ভক্তদের নিমন্ত্রণ রহিল। 

আশ্রম উন্নয়নকল্পে আজীবন সদস্য ফি ৫০০১/-  টাকা

                         সঞ্চয়ী হিসাব নং
                                ১৪২৫৩  
              রুপালী ব্যাংক,  কলারোয়া শাখা। 

মহাপ্রসাদের  মালসা ভোগর জন্য ২০১/-   টাকা জমা দিয়ে নাম ও গোত্র লেখাতে হবে।  

শ্রীল হরিদাস ঠাকুরের জীবনী সম্পর্কে জানতে ভিজিট করুন ।
পেইজ লিংক 👍 নামাচার্য্য শ্রী শ্রী ব্রহ্ম হরিদাস ঠাকুরের জন্মভূমি শ্রীধাম কেঁড়াগাছী
www.facebook.com/haridasathakur 
E-mail haridasath@gmail.com  

লেখা ও পোষ্ট #মিলন_দত্ত


সোমবার, ৮ জানুয়ারী, ২০১৮

ব্রহ্মা, বিষ্ণু ও মহেশের মধ‍্যে কে শ্রেষ্ঠ ?

একবার ঋষিদের মনে প্রশ্ন উঠলো যে ব্রহ্মা, বিষ্ণু ও মহেশের মধ‍্যে কে শ্রেষ্ঠ ? তখন দেবর্ষি নারদ পরামর্শ দিলেন তাদের মধ‍্যে কেউ একজন গিয়ে ত্রিদেবের পরীক্ষা নিয়ে দেখতে ,  যে দেবতা ত্রিগুনাতীত হবেন তিনিই শ্রেষ্ঠ এই কথায় ভৃগু ঋষি গেলেন তাদের পরীক্ষা নিতে।

প্রথমে তিনি ব্রহ্মলোক গেলেন এবং সেখানে ব্রহ্মাকে কটু ভাষায় তিরস্কার করলেন। ব্রহ্মা এতে ক্রুদ্ধ হলে ভৃগু ঋষি তার স্তব করে তাকে শান্ত করেন এবং তার আসার কারন জানান। ব্রহ্মা বললেন " আমি এই অনন্ত ব্রহ্মান্ডের রচয়িতা এবং তা নিয়ে আমি গর্বিত। তাই আমি রজ গুনের অধীন। সেই কারনে আমি শ্রেষ্ঠ নই।"

এরপর তিনি কৈলাসে গেলেন। তখন শিব ও পার্বতী একান্তে ছিলেন এবং নন্দি ও অন‍্যান‍্য গনেদের আদেশ দিয়েছিলেন যে কাউকে যেনো ভেতরে প্রবেশ করতে না দেওয়া হয়। কিন্তু ভৃগু ঋষি কোনো বাধা না মেনে কৈলাসে প্রবেশ  করলেন। এতে শিব অত‍্যান্ত ক্রুদ্ধ হয়ে ভৃগু ঋষিকে ভষ্ম করতে উদ‍্যত হলেন, কিন্তু দেবী পার্বতীর অনুরোধে থেমে গেলেন। এরপর ভৃগু ঋষি শিবকে স্তবে তুষ্ট করে নিজের আসার কারন জানালেন। শিব বললেন "ধ্বংসের দেবতা হওয়ার কারনে আমি তমোগুনের অধীন। এই কারনে আমিও শ্রেষ্ঠ নই।"


এরপর ভৃগু ঋষি বৈকুন্ঠ ধামে প্রস্থান করলেন। সেখানে তিনি দেখলেন ভগবান বিষ্ণু যোগনিদ্রায় মগ্ন। এই দেখে তিনি শ্রীহরির বুকে পদাঘাত করলেন। এতে ভগবান বিষ্ণু জেগে তার চরন ধরে বললেন "এ আপনি কি করলেন ঋষিবর! আমার ছাতি বজ্রের মতো কঠোর, আপনার কোমল চরনে যদি কোনো ব‍্যাথা পেয়ে থাকেন তাহলে আমি অত‍্যন্ত দুঃখিত। আমি নিদ্রায় থেকে আপনার সেবা করতে পারিনি এর জন‍্যও আমায় ক্ষমা করুন।" এতে ঋষি ভৃগু লজ্জিত হলেন এবং ভগবান বিষ্ণুর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করে ফিরে গেলেন। তিনি ঋষিদেরকে গিয়ে বললেন ভগবান শ্রীহরি একমাত্র ত্রিগুনাতী
ত। তিনিই সর্বশ্রেষ্ঠ।

শুক্রবার, ৫ জানুয়ারী, ২০১৮

, যদি আপনার অহংকার থাকে এবং ভগবানের প্রতি ভক্তি শ্রদ্ধা না থাকে তা হলে আপনার জীবনে কিহবে?

হরে__কৃষ্ণ

সকলে আমার প্রনাম নিবেন।

এই পোষ্টি পড়ার জন্য আনুরধ রইল।

এই পৃথিবীতে আপনার যতই ধন সম্পদ থাক না কেনো, যদি আপনার  অহংকার থাকে এবং ভগবানের প্রতি ভক্তি শ্রদ্ধা না থাকে তা হলে আপনার জীবনে শান্তি থাকবে না।
সমাজে আপনার যতই নাম দাম থাক না কেনো, আপনি যদি ভগবানের প্রতি শ্রদ্ধা শিল না হন, তা হলে আপনার অধঃপতন নিশ্চিত।

পৃথীবিতে আপনার কি আছে আর কি নেই, সেটা বড় কথা না, আপনি ভগবানের প্রতি কতটা নির্ভর করেন/ ভগবানের কতটা পুজা করেন সেটাই বড় কথা।
পৃথিবীতে সব কিছু থেকেও যদি আপনি ভগবানের কোনো কর্ম না করেন / ভক্তি শ্রদ্ধা না করেন, তা হলে আপনা মানব জন্ম বিথা।

এই পৃথইথীর কোনো কিছুই আপনার সাথে যাবে না, শুধু কৃষ্ণ নাম ছাড়া।
এই পৃথিবীর কেউ আপন না, শুধু ভগবান ছাড়া। মা- বাবা, ভাই - বোন এরা শুধু উপলক্ষ মাত্র।

মনে রাখবেন জন্ম নিলে মৃত্যু অনির্ভয্য।
তা সময় থাকতে সময়ের মৃল্য দিন।
কথায় আছে সমায়ের সত ব্যবহার করা বুদ্ধি মানের কাজ।

#হরে__কৃষ্ণ

মঙ্গলবার, ২ জানুয়ারী, ২০১৮

শ্রী শ্রী ব্রহ্ম হরিদাস ঠাকুরের জন্মভূমি আশ্রম কেঁড়াগাছী

জয় হরিদাস ঠাকুর।
 সাতক্ষীরা জেলার কলারোয়া থানার অন্তর্গত কেড়াগাছি গ্রামে ১৩৭২ বঙ্গাব্দে, ১৪৪৯ খ্রীষ্টাব্দে অগ্রাহয়ন মাসে নামাচার্য্য শ্রীশ্রী ব্রহ্ম হরিদাস ঠাকুর জন্ম গ্রহণ করেন। তার পিতার নাম সুমতি মিশ্র এবং মাতার নাম গৌরীদেবী। হরিদাসের বয়স যখন দু'মাস সেই সময় সুমতি মিশ্র পরলোক গমন করেন। সতীসাধ্বী গৌরীদেবী স্বামীর চিতায় সহমরন বরণ করেন এবং ঠাকুর হরিদাস সম্পূর্ণ অনাথ হয়ে পরেন। শিশু হরিদাস ঠাকুরের লালন পালনে কেউ এগিয়ে না এলে সুমতি মিশ্রের বন্ধু চাষী হাবিবুল্লা কাজী দয়া পরবশ হয়ে এই অনাথ শিশুটির দায়িত্ব গ্রহন করেন। হাবিবুল্লা কাজীর স্ত্রীর আদর যত্নে হরিদাস প্রতিপালন হয়ে থাকেন। এই ভাবে যবনের অন্নে যবনের ঘরে প্রতিপালন হবার জন্যই তাঁকে যবন হরিদাস বলা হয়। বাল্য থেকে কৈশরে পদার্পন করার পর পালন কর্তা তাঁকে গরু চরানোর কর্মে নিয়োগ করেন। হরিদাসের বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তিনি তাঁর অন্তরে যেন কিসের একটা প্রবল আকর্ষণ অনুভব করতে থাকেন। যার ফলে যেখানেই হরিনাম সংকীর্ত্তণ হতো সেখানেই ছুটে যেতেন হরিদাস।
অন্তরে ঈশ্বর ভক্তি ও হরিনামে প্রবল অনুরাগ দেখা দিল, এবার তিনি সব সময় উচ্চস্বরে হরিনাম জব করতে লাগলেন। এমনি ভাবে চলতে থাকাবস্হায় কাজীর দরবারে তাঁর বিরুদ্ধে নালিশ গেল, কাজীর হুকুমে জল্লাদ হরিদাসের পায়ে রশি বেঁধে টানতে টানতে বাইশ বাজারে বেত্রাঘাত করে ঘুরালেও তাঁর হরিনাম বন্ধ করতে পারলো না। হরিনামের প্রতি একনিষ্ঠ অবিচল ভক্তি দেখে সকলেই বিস্মিত ও স্হম্ভিত হলো। বিচারক কাজী সাহেব তার অন্যায় বিচারের অনুতাপ প্রকাশ করে ঠাকুর হরিদাসকে অন্যত্র চলে যাবার জন্য অনুরোধ করলেন। নিজ গ্রামের পারিপার্শ্বিক প্রতিকুলাবস্হা অনুধাবন করে কোন এক নির্জন নিশিথে ঠাকুর হরিদাস অজানার উদ্দেশ্যে পথে বেরিয়ে পরলেন। ঘুরতে ঘুরতে ঠাকুর হরিদাস তৎকালীন সময়ের প্রতাপশালী রাজা রামচন্দ্র খাঁর অধীনে গহীনে জঙ্গলে আশ্রয় নিলেন। সেই জঙ্গলাকীর্ণ স্হানটি আজকের বেনাপোল নামাচার্য্য শ্রী শ্রী ব্রহ্ম হরিদাস ঠাকুরের পাটবাড়ী আশ্রম। এহেন জঙ্গলাকীর্ণ আশ্রমে ঠাকুর হরিদাস যখন হরিনাম জপ সাধনে নিমগ্ন তখন হরিদাস ঠাকুরের প্রতিদিন তিন লক্ষ বার হরিনাম জপের কথা চারিদিকে ছড়িয়ে পরতে থাকে। তার সুধাময় কন্ঠের মধুর হরিনামাকর্ষনে দলে দলে ভক্ত ছুটে এল পর্ণ কুঠিরে। পর্ণকুঠির হলো প্রেম কানন। ভক্তের আগমনে সেই জঙ্গলাকীর্ণ আশ্রম পরিনত হলো মহাতীর্থ স্হানে। অত্যাচারী রাজা রামচন্দ্র খাঁ ঠাকুর হরিদাসের গুনগান সহ্য করতে না পেরে তাঁকে জ্যান্ত পুরিয়ে মারার অভিপ্রায় বিফল হলে তৎকালীন হীরানামক এক বার- বনিতাকে দিয়ে তার সাধন, ভজন, যশ, খ্যাতি, ধর্ম নাশ করার চক্রান্ত করতে থাকে। সমস্ত চক্রান্তে ব্যর্থ হয়ে বার-বনিতা হীরা হরিনাম মহামন্ত্রে দিক্ষিত হয়ে হরিদাস ঠাকুরের পরম বৈষ্ণবী হয়ে যান। নামাচার্য্য শ্রী শ্রী ব্রহ্ম হরিদাস ঠাকুর ছিলেন প্রকৃত বৈষ্ণবের জলন্ত নিদর্শন এবং দৈন্যের অবতার তিনি প্রতিদিন তিন লক্ষ বার হরিনাম জপ করে নামাচার্য্য নামে খ্যাত হন এবং ব্রক্ষত্ব অর্জন করেন। তিনি হরিনাম করতে করতে গৌরাঙ্গ মহাপ্রভুর কোলে অন্তিম নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। এবং মহাপ্রভু নিজ হস্তে পরিষদ বর্গকে সঙ্গে করে পুরীধামে তাঁর সমাধী স্হাপন করেন। রাজা রাম চন্দ্রের অত্যাচারের সময় গৌরাঙ্গ মহাপ্রভু পরিষদ বর্গকে সঙ্গে করে এই বেনাপোল আশ্রমে আসেন। কথিত আছে অদ্বৈত মহাপ্রভুর হাতের স্মৃতিচিহ্ন হিসাবে রেখে যান যা আজ অবনত মস্তকে দন্ডায়মান সু-বৃহৎ তমাল বৃক্ষ। এই সেই মাধবী লতা যেখানে বসে ঠাকুর হরিদাস বদ্ধ জীবগনের মুক্তির লক্ষ্যে দিন রাত তিন লক্ষ বার নাম যব করতেন। আজ ও বিদ্যমান সাড়ে পাঁচশত বছরের মাধবীলতা যা আজ বৃক্ষে পরিনত। এই সেই সিদ্ধপীঠ তীর্থভূমি। নামাচার্য্য শ্রী শ্রী ব্রহ্ম হরিদাস ঠাকুরের পাটবাড়ী আশ্রম। নামাচার্য্য শ্রী শ্রী ব্রহ্ম হরিদাস ঠাকুরের জীবনীর উপর বাংলাদেশ ও ভারতে বহু গ্রন্থ রচিত ও প্রকাশিত আছে এছাড়া চৈতন্য চরিতামৃত গ্রন্থে হরিদাস ঠাকুরের জীবনীর বিষদ আলোচনা রয়েছে যা থেকে আপনারা হরিদাসকে জানতে ও তার সাধনলীলা সম্পর্কে জ্ঞান লাভ করতে পারবেন।
ভগবানের নাম যখন ভগবানকে লক্ষ করে উচ্চারিত না হয়ে, অন্য কাউকে লক্ষ করে উচ্চারিত হয় তাহাই ''নামাভাস''। এই নামাভাসেও জীব উদ্ধার হয়। ''নামাভাসে মুক্তি হয় সর্বশাস্ত্রে দেখি,শ্রীভাগবতে তার অজামিল সাক্ষী''।।

শনিবার, ৩০ ডিসেম্বর, ২০১৭

কিভাবে শ্রীল হরিদাস ঠাকুর দৈনিক তিন লক্ষ নাম জপ করতেন?

"শ্রী হরিদাস ঠাকুর প্রতিদিন তিন লক্ষ নাম জপ" করতেন। কিভাবে? সাধারণ মানুষ সেভাবে জপ করতে পারে না।
.
শ্রী হরিদাস ঠাকুর প্রতিদিন এক লক্ষ নাম উচ্চৈঃস্বরে, এক লক্ষ নিজের শোনার মতো, বাকি এক লক্ষ মনে মনে জপ করতেন। সময় লাগতো প্রায় বাইশ ঘন্টা। আহার নিদ্রাদি নাই বললেই চলে।
.
জড়বুদ্ধি সম্পন্ন মানুষ সেভাবে দিব্যনামে আবিষ্ট থাকতে পারে না। কারনতারা ক্ষুধায় তৃষ্ণায় কাতর হয়ে পড়ে। একরাত জাগলেই সাতদিন
ঝিমুনি ভাব থাকে। এক মুহূর্ত জপ করতে গিয়ে অসংখ্যবার হাই তোলে। সেইজন্যই শ্রীল প্রভুপাদ ন্যূনতমপক্ষে (ষোল মালা) নিষ্ঠা সহকারে জপ করতে এবং কৃষ্ণভক্তিমূলক সংসারের যাবতীয় কর্তব্যকর্মে নিযুক্ত হতে নির্দেশ দিয়েছেন।
.
জয় নামাচার্য্য শ্রী শ্রী ব্রহ্ম হরিদাস ঠাকুর।

সোমবার, ২৫ ডিসেম্বর, ২০১৭

শ্রীল হরিদাস ঠাকুরের মহা প্রায়ান

========কৃষ্ণময় সুপ্রভাত=========
======হরিদাস ঠাকুরের প্রায়ান============
======================================
নামাচার্য্য হরিদাস ঠাকুর শ্রীচৈতন্য মহাপ্ৰভুর খুবই অনুরক্ত ছিলেন=আদৰ্শ এক ভক্ত তিনি প্ৰত্যহ তিনলক্ষ হরিনাম জপ করতেন=তাই মহাপ্রভুর অতি প্রিয়ভক্ত শ্রীরুপ ও সনাতন পুরীতে এলে হরিদাসের সঙ্গে থাকা পছন্দ করতেন কারণ তাঁর কুটীর ছিল বেশ নিৰ্জন স্থানে=
======================================
হরিদাস ঠাকুরের সময় কাটত হয় হরিনামে না হয় ভগবৎ=কথা আলোচনায়=বৃথাকথায় তিনি কখনও নিজ জিহ্বা ব্যবহার করতেন না=সকল ভক্তের হরিদাসের উপর গভীর শ্ৰদ্ধা ছিল=মহাপ্ৰভু প্ৰতিদিন সকালে জগন্নাথ দৰ্শনের পর সোজা চলে আসতেন হরিদাসের কুটীরে এবং কিছু সময় কৃষ্ণ=কথায় কাটাবার পর নিজ বাসায় ফিরে যেতেন=গোবিন্দকে দিয়ে তিনি রোজ হরিদাসের জন্য মহাপ্ৰসাদ পাঠিয়ে দিতেন=
======================================
একদিন গোবিন্দ প্ৰসাদ নিয়ে এসে দেখেন হরিদাস তখনও বিছানায় শুয়ে আছেন ও খুব ক্ষীণস্বরে হরিনাম জপ করে যাচ্ছেন=গোবিন্দ বুঝলেন হরিদাসের শরীর সুস্থ নয়=হরিদাস মাত্ৰ এককণা নিয়ে মহাপ্ৰসাদ সন্মান করলেন=গোবিন্দ মহাপ্রভুকে সব বললেন=হরিদাসের এই অবস্থা জানাবার পর মহাপ্ৰভু তাড়াতাড়ি ছুটে এসে হরিদাসের স্বাস্থ্য সমন্ধে জিজ্ঞাসা করাতে=হরিদাস উত্তর দিলেন=প্ৰভু=দৈহিকভাবে আমি তত অসুস্থ নই=তবে অন্তরে খুব হতাশা অনুভব করছি কেননা আমার দৈনিক লক্ষ্য যে তিনলক্ষ হরিনাম গ্ৰহণ=সে সংখ্যা পূৰ্ণ করতে=পারছি না=মহাপ্ৰভু বল্লেন=ওহে প্রিয় হরিদাস=তুমি তো=একজন পরমভাগবত ভক্ত=তুমি তো সাধনায় সিদ্ধি লাভ করেছে=তুমি তো হরিভজনের দৃষ্টান্তস্বরুপ=হরিনামের মহিমা তো তুমি জগতে প্রচার করেছ=সুতরাং এই অবস্থায়  পৌছিয়ে তুমি হরিনামের সংখ্যা রাখতে পারছে কিনা সে বিষয়ে তো দুঃখ করার কিছু নাই=
======================================
উত্তরে হরিদাস স্বভাব=সুলভ দৈন্য সহকারে বল্লেন= আমি আপনার অযোগ্যতম শিষ্য=তাই আমার একটা বহুদিনের আকাঙ্খিত বাসনা আছে=যদি আপনি কৃপা করে তা=পূরণ করবেন কথা দেন তবে বলতে পারি=
মহাপ্রভু বললেন=হে ঠাকুর হরিদাস আপনি বলুন= আমি অবশ্যই আপনার মনোবাঞ্ছা পুর্ন করব=
কেঁদে কেঁদে হরিদাস ঠাকুর বললেন=হে স্বাতন্ত্র্য ঈশ্বর= হে আমার প্রভু=আমি যেন আপনার চরণ=পদযুগল বক্ষে জড়িয়ে ধরে=আপনার শ্ৰীমুখচন্দ্ৰ দৰ্শন করতে করতে=আপনার নামকীৰ্ত্তন করতে করতে আমার মৃত্যু হয়=কারণ আমি জানতে পেরেছি খুব শীঘ্ৰই আপনি লীলাসংবরণ করবেন=আপনার সঙ্গে বিচ্ছেদ আমার পক্ষে অসহ্য হবে=অতএব এই বর আমাকে দিন যেন আপনার অন্তধার্ন আমাকে দৰ্শন না করতে হয়=
মহাপ্ৰভু শুধু মৃদু হাস্য করে চলে গেলেন=সর্বজ্ঞ মহাপ্ৰভু পরদিন সকালে শ্ৰীদামোদর স্বরুপ=রায় রামানন্দ=সার্বভৌম ভট্টাচাৰ্য্য ও অন্যান্য অনুরুপ কিছু অন্তরঙ্গ ভক্ত সঙ্গে হরিদাসের কুটীরে এলেন ও সংকীৰ্ত্তন শুরু করলেন=হরিদাসের ইচ্ছানুসারে তিনি ধ্যানমগ্নচিত্তে মহাপ্ৰভুর চরণ দুটি বুকে আকড়ে ধরে নয়নদ্বয়ের স্থির দৃষ্টি মহাপ্ৰভুর দেহের উপর নিবদ্ধ রেখে=ঠিক যেন দুইটি ভৃঙ্গ মধুপান মত্ত=আহা= শ্ৰীকৃষ্ণনাম কীৰ্ত্তন করতে করতে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করলেন=আহা=কী গৌরবোজ্জ্বল প্ৰস্থান=পুরাকালের ভীষ্মের নিৰ্য্যাণ স্মৃতি জাগরিত করে সমবেত ভক্তমণ্ডলী ও মহাপ্রভুর উচ্চ সংকীৰ্ত্তন প্ৰতি আনাচে কানাচে পূৰ্ণ হল=সবাই চোখের জলে বুক ভাসিয়ে কীর্ত্তন ও নৃত্য করতে লাগলেন=সবাই ধ্বনি দিতে লাগলেন=জয় হরিদাসের জয়=জয় মহাপ্রভুর জয়=
======================================
মহাপ্ৰভু ও স্বরুপ দামোদর সহ অন্যান্য ভক্তবৃন্দ হরিদাস ঠাকুরের দেহটিকে তুলে নিয়ে এক সুসজিত খট্টায় স্থাপন করলেন ও বহন করে সমুদ্রতীরে নিয়ে গেলেন সেখানে সেই দেহটিকে সমুদ্ৰ স্নান করাইয়া কিছু ক্ৰিয়াকলাপের পর সমুদ্রতীরে একটা গৰ্ত্ত রচনা করিয়ে তার মধ্যে স্থাপন করা হল=তারপর দেহটিকে নুতন বস্ত্ৰ=পুস্প=চন্দন দ্বারা=সজ্জিত করে ও জগন্নাথ মন্দিরের কিছু পবিত্ৰ সূত্ৰ স্থাপন করে=মহাপ্ৰসাদ অৰ্পণ করা হল=তারপর মহাপ্ৰভু স্বহস্তে তার উপর বালুকা দিলেন=অন্যান্যেরাও তাই করলেন হরেকৃষ্ণ মহামন্ত্র কীর্তন করার মধ্য দিয়ে এবং একটি সমাধিস্তম্ভ রচনা করা হল=বৰ্তমানে ঐ স্থানটি পুরীর স্বৰ্গদ্ধারের নিকট হরিদাস সমাধি নামে খ্যাত এক সমাধি মন্দির নিৰ্মিত হয়েছে=
======================================
এরপর মহাপ্ৰভু ভক্তগণসহ সমুদ্ৰ স্নান করলেন ও সোজা জগন্নাথ মন্দিরে গিয়ে আনন্দবাজারে স্বয়ং নিজের উত্তরি ধরে দোকানে দোকানে মহাপ্ৰসাদ=
ও সিংহদ্বারের উঁচু সিড়িতে দাড়িয়ে হরিনাম করতে করতে কেঁদে কেঁদে ভিক্ষা করতে লাগলেন=হরিদাস ঠাকুরের নিৰ্য্যাণ উপলক্ষে উৎসবের জন্য=পুরীধামবাসী হরিদাসের মাহাত্ম্য জানতেন তারা দলে দলে এসে মহাপ্রভুর সাথে একাত্ত্ব হয়েছিল=
======================================
মহাপ্রভু ও ভক্তগনের উদ্যোগে হরিদাস ঠাকুরের বিরাট নির্য্যান স্মরন অনুষ্ঠান হয়েছিল=লক্ষ লক্ষ নারী পুরুষ যোগদান করেছিল=
মহাপ্ৰসাদ সকল ভক্তগণের মধ্যে বিতরণ করার পর মহাপ্ৰভু খুব ভারাক্ৰান্ত হৃদয়ে নিজ বাসায় ফিরে এলেন=এই হরিদাস ছিলেন তাঁর নিত্য সঙ্গী=তাই নিজ ভাবনা প্ৰকাশ করে বল্লেন=কৃষ্ণের কৃপায়=তাঁর সঙ্গে আমার মধুর ও সাময়িক সম্বন্ধ ঘটেছিল=কিন্তু আবার তাঁরই ইচ্ছায় আবার সে সঙ্গ থেকে বঞ্চিত হলাম= হরিদাস ছিলেন ভক্ত চূড়ামণি=তাই ধরিত্রীমাতা আজ এক অমূল্য সম্পদ হারালেন=
======================================
সতীর্থ ভক্তগন সকলে হরিদাস ঠাকুরের গৌরবোজ্জ্বল জীবনী  নিয়ে আলোচনা করেন=এখনও পুরীতে হরিদাস ঠাকুরের সমাধি মন্দিরে অখন্ড হরিনাম চলছে=
======================================  
          "হরে"কৃষ্ণ"হরে"কৃষ্ণ"কৃষ্ণ"কৃষ্ণ"হরে"হরে"
            "হরে"রাম"হরে"রাম"রাম"রাম"হরে"হরে''
===================================

ভাগবান শ্রী কৃষ্ণের পঞ্চম দোল যাত্রা উপলক্ষে ৩ দিন ব্যাপী অনুষ্ঠান সূচি

🌹ওঁ নমো বাসুদেবায়ঃ ওঁ কৃষ্ণ কৃপাহি কেবলম 🌹 ভাগবান শ্রী কৃষ্ণের পঞ্চম দোল যাত্রায়। ভাগবত আলোচনা, পদাবলী কীর্ত্তন, ভজন কীর্ত্তন ও ভক্ত...