========কৃষ্ণময় সুপ্রভাত=========
======হরিদাস ঠাকুরের প্রায়ান============
======================================
নামাচার্য্য হরিদাস ঠাকুর শ্রীচৈতন্য মহাপ্ৰভুর খুবই অনুরক্ত ছিলেন=আদৰ্শ এক ভক্ত তিনি প্ৰত্যহ তিনলক্ষ হরিনাম জপ করতেন=তাই মহাপ্রভুর অতি প্রিয়ভক্ত শ্রীরুপ ও সনাতন পুরীতে এলে হরিদাসের সঙ্গে থাকা পছন্দ করতেন কারণ তাঁর কুটীর ছিল বেশ নিৰ্জন স্থানে=
======================================
হরিদাস ঠাকুরের সময় কাটত হয় হরিনামে না হয় ভগবৎ=কথা আলোচনায়=বৃথাকথায় তিনি কখনও নিজ জিহ্বা ব্যবহার করতেন না=সকল ভক্তের হরিদাসের উপর গভীর শ্ৰদ্ধা ছিল=মহাপ্ৰভু প্ৰতিদিন সকালে জগন্নাথ দৰ্শনের পর সোজা চলে আসতেন হরিদাসের কুটীরে এবং কিছু সময় কৃষ্ণ=কথায় কাটাবার পর নিজ বাসায় ফিরে যেতেন=গোবিন্দকে দিয়ে তিনি রোজ হরিদাসের জন্য মহাপ্ৰসাদ পাঠিয়ে দিতেন=
======================================
একদিন গোবিন্দ প্ৰসাদ নিয়ে এসে দেখেন হরিদাস তখনও বিছানায় শুয়ে আছেন ও খুব ক্ষীণস্বরে হরিনাম জপ করে যাচ্ছেন=গোবিন্দ বুঝলেন হরিদাসের শরীর সুস্থ নয়=হরিদাস মাত্ৰ এককণা নিয়ে মহাপ্ৰসাদ সন্মান করলেন=গোবিন্দ মহাপ্রভুকে সব বললেন=হরিদাসের এই অবস্থা জানাবার পর মহাপ্ৰভু তাড়াতাড়ি ছুটে এসে হরিদাসের স্বাস্থ্য সমন্ধে জিজ্ঞাসা করাতে=হরিদাস উত্তর দিলেন=প্ৰভু=দৈহিকভাবে আমি তত অসুস্থ নই=তবে অন্তরে খুব হতাশা অনুভব করছি কেননা আমার দৈনিক লক্ষ্য যে তিনলক্ষ হরিনাম গ্ৰহণ=সে সংখ্যা পূৰ্ণ করতে=পারছি না=মহাপ্ৰভু বল্লেন=ওহে প্রিয় হরিদাস=তুমি তো=একজন পরমভাগবত ভক্ত=তুমি তো সাধনায় সিদ্ধি লাভ করেছে=তুমি তো হরিভজনের দৃষ্টান্তস্বরুপ=হরিনামের মহিমা তো তুমি জগতে প্রচার করেছ=সুতরাং এই অবস্থায় পৌছিয়ে তুমি হরিনামের সংখ্যা রাখতে পারছে কিনা সে বিষয়ে তো দুঃখ করার কিছু নাই=
======================================
উত্তরে হরিদাস স্বভাব=সুলভ দৈন্য সহকারে বল্লেন= আমি আপনার অযোগ্যতম শিষ্য=তাই আমার একটা বহুদিনের আকাঙ্খিত বাসনা আছে=যদি আপনি কৃপা করে তা=পূরণ করবেন কথা দেন তবে বলতে পারি=
মহাপ্রভু বললেন=হে ঠাকুর হরিদাস আপনি বলুন= আমি অবশ্যই আপনার মনোবাঞ্ছা পুর্ন করব=
কেঁদে কেঁদে হরিদাস ঠাকুর বললেন=হে স্বাতন্ত্র্য ঈশ্বর= হে আমার প্রভু=আমি যেন আপনার চরণ=পদযুগল বক্ষে জড়িয়ে ধরে=আপনার শ্ৰীমুখচন্দ্ৰ দৰ্শন করতে করতে=আপনার নামকীৰ্ত্তন করতে করতে আমার মৃত্যু হয়=কারণ আমি জানতে পেরেছি খুব শীঘ্ৰই আপনি লীলাসংবরণ করবেন=আপনার সঙ্গে বিচ্ছেদ আমার পক্ষে অসহ্য হবে=অতএব এই বর আমাকে দিন যেন আপনার অন্তধার্ন আমাকে দৰ্শন না করতে হয়=
মহাপ্ৰভু শুধু মৃদু হাস্য করে চলে গেলেন=সর্বজ্ঞ মহাপ্ৰভু পরদিন সকালে শ্ৰীদামোদর স্বরুপ=রায় রামানন্দ=সার্বভৌম ভট্টাচাৰ্য্য ও অন্যান্য অনুরুপ কিছু অন্তরঙ্গ ভক্ত সঙ্গে হরিদাসের কুটীরে এলেন ও সংকীৰ্ত্তন শুরু করলেন=হরিদাসের ইচ্ছানুসারে তিনি ধ্যানমগ্নচিত্তে মহাপ্ৰভুর চরণ দুটি বুকে আকড়ে ধরে নয়নদ্বয়ের স্থির দৃষ্টি মহাপ্ৰভুর দেহের উপর নিবদ্ধ রেখে=ঠিক যেন দুইটি ভৃঙ্গ মধুপান মত্ত=আহা= শ্ৰীকৃষ্ণনাম কীৰ্ত্তন করতে করতে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করলেন=আহা=কী গৌরবোজ্জ্বল প্ৰস্থান=পুরাকালের ভীষ্মের নিৰ্য্যাণ স্মৃতি জাগরিত করে সমবেত ভক্তমণ্ডলী ও মহাপ্রভুর উচ্চ সংকীৰ্ত্তন প্ৰতি আনাচে কানাচে পূৰ্ণ হল=সবাই চোখের জলে বুক ভাসিয়ে কীর্ত্তন ও নৃত্য করতে লাগলেন=সবাই ধ্বনি দিতে লাগলেন=জয় হরিদাসের জয়=জয় মহাপ্রভুর জয়=
======================================
মহাপ্ৰভু ও স্বরুপ দামোদর সহ অন্যান্য ভক্তবৃন্দ হরিদাস ঠাকুরের দেহটিকে তুলে নিয়ে এক সুসজিত খট্টায় স্থাপন করলেন ও বহন করে সমুদ্রতীরে নিয়ে গেলেন সেখানে সেই দেহটিকে সমুদ্ৰ স্নান করাইয়া কিছু ক্ৰিয়াকলাপের পর সমুদ্রতীরে একটা গৰ্ত্ত রচনা করিয়ে তার মধ্যে স্থাপন করা হল=তারপর দেহটিকে নুতন বস্ত্ৰ=পুস্প=চন্দন দ্বারা=সজ্জিত করে ও জগন্নাথ মন্দিরের কিছু পবিত্ৰ সূত্ৰ স্থাপন করে=মহাপ্ৰসাদ অৰ্পণ করা হল=তারপর মহাপ্ৰভু স্বহস্তে তার উপর বালুকা দিলেন=অন্যান্যেরাও তাই করলেন হরেকৃষ্ণ মহামন্ত্র কীর্তন করার মধ্য দিয়ে এবং একটি সমাধিস্তম্ভ রচনা করা হল=বৰ্তমানে ঐ স্থানটি পুরীর স্বৰ্গদ্ধারের নিকট হরিদাস সমাধি নামে খ্যাত এক সমাধি মন্দির নিৰ্মিত হয়েছে=
======================================
এরপর মহাপ্ৰভু ভক্তগণসহ সমুদ্ৰ স্নান করলেন ও সোজা জগন্নাথ মন্দিরে গিয়ে আনন্দবাজারে স্বয়ং নিজের উত্তরি ধরে দোকানে দোকানে মহাপ্ৰসাদ=
ও সিংহদ্বারের উঁচু সিড়িতে দাড়িয়ে হরিনাম করতে করতে কেঁদে কেঁদে ভিক্ষা করতে লাগলেন=হরিদাস ঠাকুরের নিৰ্য্যাণ উপলক্ষে উৎসবের জন্য=পুরীধামবাসী হরিদাসের মাহাত্ম্য জানতেন তারা দলে দলে এসে মহাপ্রভুর সাথে একাত্ত্ব হয়েছিল=
======================================
মহাপ্রভু ও ভক্তগনের উদ্যোগে হরিদাস ঠাকুরের বিরাট নির্য্যান স্মরন অনুষ্ঠান হয়েছিল=লক্ষ লক্ষ নারী পুরুষ যোগদান করেছিল=
মহাপ্ৰসাদ সকল ভক্তগণের মধ্যে বিতরণ করার পর মহাপ্ৰভু খুব ভারাক্ৰান্ত হৃদয়ে নিজ বাসায় ফিরে এলেন=এই হরিদাস ছিলেন তাঁর নিত্য সঙ্গী=তাই নিজ ভাবনা প্ৰকাশ করে বল্লেন=কৃষ্ণের কৃপায়=তাঁর সঙ্গে আমার মধুর ও সাময়িক সম্বন্ধ ঘটেছিল=কিন্তু আবার তাঁরই ইচ্ছায় আবার সে সঙ্গ থেকে বঞ্চিত হলাম= হরিদাস ছিলেন ভক্ত চূড়ামণি=তাই ধরিত্রীমাতা আজ এক অমূল্য সম্পদ হারালেন=
======================================
সতীর্থ ভক্তগন সকলে হরিদাস ঠাকুরের গৌরবোজ্জ্বল জীবনী নিয়ে আলোচনা করেন=এখনও পুরীতে হরিদাস ঠাকুরের সমাধি মন্দিরে অখন্ড হরিনাম চলছে=
======================================
"হরে"কৃষ্ণ"হরে"কৃষ্ণ"কৃষ্ণ"কৃষ্ণ"হরে"হরে"
"হরে"রাম"হরে"রাম"রাম"রাম"হরে"হরে''
===================================
======হরিদাস ঠাকুরের প্রায়ান============
======================================
নামাচার্য্য হরিদাস ঠাকুর শ্রীচৈতন্য মহাপ্ৰভুর খুবই অনুরক্ত ছিলেন=আদৰ্শ এক ভক্ত তিনি প্ৰত্যহ তিনলক্ষ হরিনাম জপ করতেন=তাই মহাপ্রভুর অতি প্রিয়ভক্ত শ্রীরুপ ও সনাতন পুরীতে এলে হরিদাসের সঙ্গে থাকা পছন্দ করতেন কারণ তাঁর কুটীর ছিল বেশ নিৰ্জন স্থানে=
======================================
হরিদাস ঠাকুরের সময় কাটত হয় হরিনামে না হয় ভগবৎ=কথা আলোচনায়=বৃথাকথায় তিনি কখনও নিজ জিহ্বা ব্যবহার করতেন না=সকল ভক্তের হরিদাসের উপর গভীর শ্ৰদ্ধা ছিল=মহাপ্ৰভু প্ৰতিদিন সকালে জগন্নাথ দৰ্শনের পর সোজা চলে আসতেন হরিদাসের কুটীরে এবং কিছু সময় কৃষ্ণ=কথায় কাটাবার পর নিজ বাসায় ফিরে যেতেন=গোবিন্দকে দিয়ে তিনি রোজ হরিদাসের জন্য মহাপ্ৰসাদ পাঠিয়ে দিতেন=
======================================
একদিন গোবিন্দ প্ৰসাদ নিয়ে এসে দেখেন হরিদাস তখনও বিছানায় শুয়ে আছেন ও খুব ক্ষীণস্বরে হরিনাম জপ করে যাচ্ছেন=গোবিন্দ বুঝলেন হরিদাসের শরীর সুস্থ নয়=হরিদাস মাত্ৰ এককণা নিয়ে মহাপ্ৰসাদ সন্মান করলেন=গোবিন্দ মহাপ্রভুকে সব বললেন=হরিদাসের এই অবস্থা জানাবার পর মহাপ্ৰভু তাড়াতাড়ি ছুটে এসে হরিদাসের স্বাস্থ্য সমন্ধে জিজ্ঞাসা করাতে=হরিদাস উত্তর দিলেন=প্ৰভু=দৈহিকভাবে আমি তত অসুস্থ নই=তবে অন্তরে খুব হতাশা অনুভব করছি কেননা আমার দৈনিক লক্ষ্য যে তিনলক্ষ হরিনাম গ্ৰহণ=সে সংখ্যা পূৰ্ণ করতে=পারছি না=মহাপ্ৰভু বল্লেন=ওহে প্রিয় হরিদাস=তুমি তো=একজন পরমভাগবত ভক্ত=তুমি তো সাধনায় সিদ্ধি লাভ করেছে=তুমি তো হরিভজনের দৃষ্টান্তস্বরুপ=হরিনামের মহিমা তো তুমি জগতে প্রচার করেছ=সুতরাং এই অবস্থায় পৌছিয়ে তুমি হরিনামের সংখ্যা রাখতে পারছে কিনা সে বিষয়ে তো দুঃখ করার কিছু নাই=
======================================
উত্তরে হরিদাস স্বভাব=সুলভ দৈন্য সহকারে বল্লেন= আমি আপনার অযোগ্যতম শিষ্য=তাই আমার একটা বহুদিনের আকাঙ্খিত বাসনা আছে=যদি আপনি কৃপা করে তা=পূরণ করবেন কথা দেন তবে বলতে পারি=
মহাপ্রভু বললেন=হে ঠাকুর হরিদাস আপনি বলুন= আমি অবশ্যই আপনার মনোবাঞ্ছা পুর্ন করব=
কেঁদে কেঁদে হরিদাস ঠাকুর বললেন=হে স্বাতন্ত্র্য ঈশ্বর= হে আমার প্রভু=আমি যেন আপনার চরণ=পদযুগল বক্ষে জড়িয়ে ধরে=আপনার শ্ৰীমুখচন্দ্ৰ দৰ্শন করতে করতে=আপনার নামকীৰ্ত্তন করতে করতে আমার মৃত্যু হয়=কারণ আমি জানতে পেরেছি খুব শীঘ্ৰই আপনি লীলাসংবরণ করবেন=আপনার সঙ্গে বিচ্ছেদ আমার পক্ষে অসহ্য হবে=অতএব এই বর আমাকে দিন যেন আপনার অন্তধার্ন আমাকে দৰ্শন না করতে হয়=
মহাপ্ৰভু শুধু মৃদু হাস্য করে চলে গেলেন=সর্বজ্ঞ মহাপ্ৰভু পরদিন সকালে শ্ৰীদামোদর স্বরুপ=রায় রামানন্দ=সার্বভৌম ভট্টাচাৰ্য্য ও অন্যান্য অনুরুপ কিছু অন্তরঙ্গ ভক্ত সঙ্গে হরিদাসের কুটীরে এলেন ও সংকীৰ্ত্তন শুরু করলেন=হরিদাসের ইচ্ছানুসারে তিনি ধ্যানমগ্নচিত্তে মহাপ্ৰভুর চরণ দুটি বুকে আকড়ে ধরে নয়নদ্বয়ের স্থির দৃষ্টি মহাপ্ৰভুর দেহের উপর নিবদ্ধ রেখে=ঠিক যেন দুইটি ভৃঙ্গ মধুপান মত্ত=আহা= শ্ৰীকৃষ্ণনাম কীৰ্ত্তন করতে করতে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করলেন=আহা=কী গৌরবোজ্জ্বল প্ৰস্থান=পুরাকালের ভীষ্মের নিৰ্য্যাণ স্মৃতি জাগরিত করে সমবেত ভক্তমণ্ডলী ও মহাপ্রভুর উচ্চ সংকীৰ্ত্তন প্ৰতি আনাচে কানাচে পূৰ্ণ হল=সবাই চোখের জলে বুক ভাসিয়ে কীর্ত্তন ও নৃত্য করতে লাগলেন=সবাই ধ্বনি দিতে লাগলেন=জয় হরিদাসের জয়=জয় মহাপ্রভুর জয়=
======================================
মহাপ্ৰভু ও স্বরুপ দামোদর সহ অন্যান্য ভক্তবৃন্দ হরিদাস ঠাকুরের দেহটিকে তুলে নিয়ে এক সুসজিত খট্টায় স্থাপন করলেন ও বহন করে সমুদ্রতীরে নিয়ে গেলেন সেখানে সেই দেহটিকে সমুদ্ৰ স্নান করাইয়া কিছু ক্ৰিয়াকলাপের পর সমুদ্রতীরে একটা গৰ্ত্ত রচনা করিয়ে তার মধ্যে স্থাপন করা হল=তারপর দেহটিকে নুতন বস্ত্ৰ=পুস্প=চন্দন দ্বারা=সজ্জিত করে ও জগন্নাথ মন্দিরের কিছু পবিত্ৰ সূত্ৰ স্থাপন করে=মহাপ্ৰসাদ অৰ্পণ করা হল=তারপর মহাপ্ৰভু স্বহস্তে তার উপর বালুকা দিলেন=অন্যান্যেরাও তাই করলেন হরেকৃষ্ণ মহামন্ত্র কীর্তন করার মধ্য দিয়ে এবং একটি সমাধিস্তম্ভ রচনা করা হল=বৰ্তমানে ঐ স্থানটি পুরীর স্বৰ্গদ্ধারের নিকট হরিদাস সমাধি নামে খ্যাত এক সমাধি মন্দির নিৰ্মিত হয়েছে=
======================================
এরপর মহাপ্ৰভু ভক্তগণসহ সমুদ্ৰ স্নান করলেন ও সোজা জগন্নাথ মন্দিরে গিয়ে আনন্দবাজারে স্বয়ং নিজের উত্তরি ধরে দোকানে দোকানে মহাপ্ৰসাদ=
ও সিংহদ্বারের উঁচু সিড়িতে দাড়িয়ে হরিনাম করতে করতে কেঁদে কেঁদে ভিক্ষা করতে লাগলেন=হরিদাস ঠাকুরের নিৰ্য্যাণ উপলক্ষে উৎসবের জন্য=পুরীধামবাসী হরিদাসের মাহাত্ম্য জানতেন তারা দলে দলে এসে মহাপ্রভুর সাথে একাত্ত্ব হয়েছিল=
======================================
মহাপ্রভু ও ভক্তগনের উদ্যোগে হরিদাস ঠাকুরের বিরাট নির্য্যান স্মরন অনুষ্ঠান হয়েছিল=লক্ষ লক্ষ নারী পুরুষ যোগদান করেছিল=
মহাপ্ৰসাদ সকল ভক্তগণের মধ্যে বিতরণ করার পর মহাপ্ৰভু খুব ভারাক্ৰান্ত হৃদয়ে নিজ বাসায় ফিরে এলেন=এই হরিদাস ছিলেন তাঁর নিত্য সঙ্গী=তাই নিজ ভাবনা প্ৰকাশ করে বল্লেন=কৃষ্ণের কৃপায়=তাঁর সঙ্গে আমার মধুর ও সাময়িক সম্বন্ধ ঘটেছিল=কিন্তু আবার তাঁরই ইচ্ছায় আবার সে সঙ্গ থেকে বঞ্চিত হলাম= হরিদাস ছিলেন ভক্ত চূড়ামণি=তাই ধরিত্রীমাতা আজ এক অমূল্য সম্পদ হারালেন=
======================================
সতীর্থ ভক্তগন সকলে হরিদাস ঠাকুরের গৌরবোজ্জ্বল জীবনী নিয়ে আলোচনা করেন=এখনও পুরীতে হরিদাস ঠাকুরের সমাধি মন্দিরে অখন্ড হরিনাম চলছে=
======================================
"হরে"কৃষ্ণ"হরে"কৃষ্ণ"কৃষ্ণ"কৃষ্ণ"হরে"হরে"
"হরে"রাম"হরে"রাম"রাম"রাম"হরে"হরে''
===================================

কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন